হেক্সাডেসিমাল গণিত- Hexadecimal

- তথ্য প্রযুক্তি - কম্পিউটার (Computer) | | NCTB BOOK

হেক্সাডেসিমাল গণিত হলো একটি সংখ্যা পদ্ধতি যা ভিত্তি ১৬ ব্যবহার করে। এই পদ্ধতিতে সংখ্যা ০ থেকে ৯ এবং A (10), B (11), C (12), D (13), E (14), F (15) পর্যন্ত থাকে। হেক্সাডেসিমাল পদ্ধতি সাধারণত কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রোগ্রামিংয়ে ব্যবহৃত হয়, কারণ এটি বাইনারি সংখ্যাকে আরও সংক্ষিপ্তভাবে উপস্থাপন করতে সহায়ক।

হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতির মৌলিক ধারণা:

  1. সংখ্যা: হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা ০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, A, B, C, D, E, F পর্যন্ত হয়।
  2. সংখ্যার মান: হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা প্রতিটি বিটের অবস্থান ১৬-এর শক্তির মাধ্যমে গণনা করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা 2A হল:
    • 2 × 161 + 10 × 160 = 32 + 10 = 42 (ডেসিমাল)

হেক্সাডেসিমাল গণনা কার্যক্রম:

১. হেক্সাডেসিমাল যোগ (Addition):

হেক্সাডেসিমাল সংখ্যার যোগ করার সময়, ১৬-এর ভিত্তিতে গণনা করতে হয়। যদি যোগফল ১৬ বা তার বেশি হয়, তাহলে ১ অবশিষ্ট রাখতে হয়।

উদাহরণ:

  1A  (হেক্সাডেসিমাল)
+ 2B  (হেক্সাডেসিমাল)
------
  45  (হেক্সাডেসিমাল)

ব্যাখ্যা:

  • A (10) + B (11) = 21 (হেক্সাডেসিমাল), যা 1 অবশিষ্ট রেখে 5।
  • 1 + 2 + 1 (অবশিষ্ট) = 4।

২. হেক্সাডেসিমাল বিয়োগ (Subtraction):

হেক্সাডেসিমাল বিয়োগ করার সময়, ঋণাত্মক ফলের জন্য ১ ধার্য করতে হবে।

উদাহরণ:

  3C  (হেক্সাডেসিমাল)
- 1A  (হেক্সাডেসিমাল)
------
  22  (হেক্সাডেসিমাল)

ব্যাখ্যা:

  • C (12) - A (10) = 2
  • 3 - 1 = 2

৩. হেক্সাডেসিমাল গুণ (Multiplication):

হেক্সাডেসিমাল গুণ করার সময়, সাধারণ গুণনের মতোই কাজ করা হয়, কিন্তু ফলাফল ১৬-এর ভিত্তিতে রূপান্তর করতে হয়।

উদাহরণ:

  1A  (হেক্সাডেসিমাল)
×  3  (হেক্সাডেসিমাল)
------
  51  (হেক্সাডেসিমাল)

ব্যাখ্যা:

  • A (10) × 3 = 30 (হেক্সাডেসিমাল), যা 1 অবশিষ্ট রেখে 0।
  • 1 × 3 + 1 (অবশিষ্ট) = 5।

৪. হেক্সাডেসিমাল ভাগ (Division):

হেক্সাডেসিমাল ভাগ করার সময়, ভাগফল এবং অবশিষ্ট উভয়কেই ১৬-এর ভিত্তিতে গণনা করতে হবে।

উদাহরণ:

  4A  (হেক্সাডেসিমাল)
÷  2  (হেক্সাডেসিমাল)
------
  26  (হেক্সাডেসিমাল)

ব্যাখ্যা:

  • 4 ÷ 2 = 2
  • A (10) ÷ 2 = 5, তাই 4A (হেক্সাডেসিমাল) ভাগফল 26 (হেক্সাডেসিমাল) হবে।

হেক্সাডেসিমাল থেকে অন্য সংখ্যা পদ্ধতিতে রূপান্তর:

হেক্সাডেসিমাল সংখ্যাকে ডেসিমাল, বাইনারি বা অক্টাল রূপান্তর করতে প্রয়োজনীয় পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।

হেক্সাডেসিমাল থেকে ডেসিমাল:

প্রতি বিটের মান গণনা করতে হবে এবং ১৬-এর শক্তি ব্যবহার করতে হবে।

উদাহরণ: হেক্সাডেসিমাল 1A কে ডেসিমালে রূপান্তর করা:

1 × 16^1 + 10 × 16^0 = 16 + 10 = 26

হেক্সাডেসিমাল থেকে বাইনারি:

প্রতি হেক্সাডেসিমাল সংখ্যাকে ৪ বিট বাইনারিতে রূপান্তর করতে হয়।

উদাহরণ: হেক্সাডেসিমাল A কে বাইনারিতে রূপান্তর করা:

A = 1010 (বাইনারি)

সারসংক্ষেপ:

হেক্সাডেসিমাল গণিত সহজ এবং কার্যকর, তবে এর জন্য ১৬-এর ভিত্তিতে গণনা করার দক্ষতা প্রয়োজন। এটি বিভিন্ন প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে, বিশেষ করে কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং ইলেকট্রনিক্সে প্রায়ই ব্যবহৃত হয়। এটি বাইনারি সংখ্যাকে আরও সংক্ষিপ্তভাবে উপস্থাপন করতে সহায়ক এবং সাধারণত কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এবং ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্সে ব্যবহৃত হয়।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

Promotion